উখিয়ায় জায়গা দখলে নিতে আপন ভাইয়ের সাথে শত্রুতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক •

সম্পত্তি দখল নিতে আপন ভাইয়ের বাগানের সুপারি গাছ কেটে নষ্ট করে দিয়েছেন ছোট ভাই এমন অভিযোগ করেছেন ছুরুত আলম নামের এক ভুক্তভোগী। এতে তার প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছেন তিনি।

২৫ মার্চ শুক্রবার ভোর ৫টায় উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের মধ্যরত্না এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ৯৯৯ এ কল দিলে উখিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পরে জড়িত আপন ভাই ও তার দুই ছেলের বিচার চেয়ে উখিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

জানা যায়, উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের মধ্যরত্না গ্রামের মৃত বজলুল করিমের ছেলে ছুরুত আলম তার পৈত্রিক সম্পত্তির ভোগদখলীয় বসতবাড়ীর আশপাশের জমিতে সুপারি বাগান গড়ে তুলেন। শুক্রবার ভোররাতে এই বাগানের ৭০টি সুপারি গাছ এবং পানি চলাচলের প্লাস্টিকের নল নির্দয় ভাবে কেটে দিয়েছে তারই আপন ভাই জাফর আলম। এসময় তার সাথে ছিলেন তার দুই সন্তান শহিদুল আলম ও রফিকুল আলম এবং অজ্ঞাতনামা বেশ কিছু সন্ত্রাসী।

ভুক্তভোগী ছুরুত আলম অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৩৮ বছর ধরে আমার ভোগদখলীয় খালি জায়গায় সুপারি গাছ রোপন
করি এবং অন্য খালি জায়গায় বাড়ি নির্মাণের জন্য সরঞ্জাম আনলে আমার ভোগদখলীয় সম্পত্তি দখলে নিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ভাইয়ের। তারই জের ধরে তিনি বেশ কিছুদিন আগে থেকে জায়গা দখল নিতে বিভিন্ন পায়তারা ও ষড়যন্ত্র শুরু করলে আমরা বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করি।

কিন্তু তিনি তা কর্ণপাত না করে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তার সন্ত্রাসী বাহিনী এনে আমার লাগানো ৭০ টি সুপারি গাছ চাষের জমিতে পানি সরবরাহের প্লাষ্টিকের নল কেটে ফেলে। এসময় আমার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে এগিয়ে আসলে তাদের মারার হুমকি দেয়। এসময় আমি নিরুপায় হয়ে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখে যান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের ছুরুত আলমের মেয়ে ও একমাত্র ছেলে বলেন, আমার চাচা এবং চাচাতো ভাইয়েরা সম্পত্তি দখল নিতে বিভিন্ন সময়ে আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। বিষয়টি আমরা চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি বিচারের জন্য চাচাকে বললে তিনি বিভিন্নভাবে সময় নিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এরমধ্যে একাধিকবার মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন। আমরা চাকরি ও পড়ালেখার কাজে বাইরে থাকি বলে চলতে পথে অনেক বাধা ও হুমকি শিকার হতে হয়। এছাড়া আমরা বাইরে থাকায় বাসায় মা-বাবাকে নিয়ে কোনো অঘটন ঘটাচ্ছে কিনা তা নিয়ে শংকায় দিন কাটাচ্ছি।

এদিকে ভুক্তভোগী ছুরুত আলম এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তবে এ ব্যাপারে জানতে জাফর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে সব তথ্য মিথ্যা বলে দাবী করেন।

এব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন সুপারি বাগান কাটার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।